মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় সাংবাদিক নাজমুল বারী সোহেলের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ফেইক আইডি থেকে বিভিন্ন অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। এ ঘটনায় সাংবাদিক সমাজের পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। এদিকে সাংবাদিক নাজমুল বারী সোহেল শুক্রবার (২২ আগস্ট) রাতে কুলাউড়া থানায় বাদী হয়ে একটি সাধারণ ডায়েরী ( নং-১১৭২) করেন। সাংবাদিক নাজমুল বারী সোহেল কুলাউড়া উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ছাড়াও জাতীয় দৈনিক আজকের দর্পণ, ফিন্যানসিয়াল পোস্ট, সিলেট বাণীর কুলাউড়া প্রতিনিধি ও সাপ্তাহিক সীমান্তের ডাকের স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে সততা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করছেন।
সাধারণ ডায়েরী থেকে জানা যায়, গত ২১ আগস্ট একটি কুচক্রী মহল “কুলাউড়া ডটকম নামক” ফেসবুক পেইজ “ইসলাম আমিনুল ” ও “সুমি চৌধুরী” নামক ফেসবুক ফেইক আইডি থেকে জুলাই যোদ্ধা আইরিন আক্তারের ভূয়া মেডিকেল ব্যবস্থাপত্রের কপি তৈরী করে এবং উক্ত ব্যবস্থাপত্রের কপি উল্লেখ পূর্বক জুলাই যোদ্ধাদের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার বিষয়ে সাংবাদিক নাজমুল বারী সোহেলের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য দিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করা হয়। ওই পোস্টের কারণে সাংবাদিক নাজমুল বারী সোহেলসহ তাঁর পরিবার সামাজিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন হওয়া সহ বিব্রতকর পরিস্থিতির স্বীকার হচ্ছেন। এদিকে কুলাউড়া ডটকম নামক ফেসবুক পেইজ, ইসলাম আমিনুল ও সুমি চৌধুরী নামক ফেসবুক আইডি থেকে জুলাই যোদ্ধা আইরিন আক্তারের নামে যে মেডিকেল ব্যবস্থাপত্র দেয়া হয়েছে সেটি ভূয়া বলে নিশ্চিত করে আইরিন আক্তারকে চিকিৎসা দেয়া পল্লী চিকিৎসক জুয়েল কুমার দত্ত বলেন, জুলাই আন্দোলনে আহত হওয়া আইরিন আক্তারকে গত বছরের ১৮ জুলাই তারিখে আমি চিকিৎসা দিয়েছি। সেই বিষয়টি আমি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে শুনানীতেও উপস্থাপন করেছি। ফেসবুকে যে ব্যবস্থাপত্র দেয়া হয়েছে সেটি আমার নয়। কেউ এডিট করে সেই ব্যবস্থাপত্রটি ফেসবুকে দিয়েছে।
সাংবাদিক নাজমুল বারী সোহেল বলেন, আইরিন আক্তার আমার ছোট বোন। জুলাই আন্দোলনে অন্যান্যদের সাথে সেও ওতপ্রোতভাবে সম্পৃক্ত ছিল। সেই হিসেবে সরকার কর্তৃক আহত জুলাই যোদ্ধাদের তালিকায় সকল গোয়েন্দা সংস্থার যাচাইপূর্বক আইরিন আক্তারের নাম অন্তর্ভুক্ত হলে রাষ্ট্রীয়ভাবে সেটি গেজেট হয়। এখানে আমার কোন সম্পৃক্ততা নেই। আমার ধারণা কুলাউড়ার একটি স্বার্থান্বেষী মহল বা ব্যক্তি আমার কিংবা আমার পরিবারসহ কুলাউড়ায় কর্মরত আমার সহকর্মী সকল সাংবাদিকবৃন্দের বড় ধরনের ক্ষতিসাধনের পায়তারায় লিপ্ত রয়েছে। সেই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে আমার নামে মিথ্যা তথ্য তৈরী করে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমার মান-মর্যাদা নষ্ট করার জন্য একটি উদ্দেশ্যমূলক পোস্ট করে। সেই পোস্টটি অনেক ফেইক আইডিসহ বিভিন্ন আইডি থেকে শেয়ার করা হচ্ছে। এতে আমি খুবই বিস্মিত ও বির্বত হচ্ছি। তাই আমি এ ঘটনায় থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেছি।
কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওমর ফারুক বলেন, এ ঘটনায় সাংবাদিক নাজমুল বারী একটি সাধারণ ডায়েরী করেছেন। এরআগেও কুলাউড়া ডটকম নামক ফেইক আইডি থেকে ইতিমধ্যে অনেকের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করা হয়েছে। সেই আইডিসহ অন্যান্য ফেইক আইডি শনাক্তের জন্য পুলিশ তদন্ত করছে। তদন্ত শেষে ওই আইডি শনাক্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। #