কুলাউড়া উপজেলার জয়চন্ডী ইউনিয়নে এক পঞ্চায়েত প্রধানের উপর ন্যাক্কারজনক হামলার ঘটনা ঘটেছে। প্রকাশ্যে একজন মুরব্বির উপর এমন হামলার ঘটনায় পুরো এলাকার লোকজন ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন। গত বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) সন্ধ্যায় জয়চন্ডী ইউনিয়নের পাঁচপীর জালাই এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। এঘটনায় এক জনকে আটক করেছে পুলিশ।
থানায় দায়েরকৃত অভিযোগ থেকে জানা যায়, পাঁচপীর জালাই পঞ্চায়ের প্রধান মুরব্বি হাজী ইরন মিয়ার বাড়ির গাছ থেকে কাঠাল চুরি করে নিয়ে যায় একই এলাকার ছায়াদ আলীর ছেলে রাহি মিয়া। ঘটনাটি জানার পর ইরন মিয়া রাহীর বাড়িতে গিয়ে তার দাদা নজির আলীর কাছে কাঠাল চুরির বিষয়টি অবহিত করে বিচারপ্রার্থী হন। কিন্তু নজির আলী তার নাতীকে শাসন না করে উল্টো ইরন মিয়ার উপর উত্তেজিত হয়ে উঠেন।
এদিকে তার নাতিকে কেন চোর বলা হলো, তা নিয়ে নজির আলী ও তার ছেলেরা মিলে ইরন মিয়ার বাড়িতে উত্তেজিত হয়ে আসেন। চিল্লাছিৎকার শুনে ইরন মিয়ার বাড়িতে উপস্থিত হন একই পঞ্চায়েতের সহকারী মুরব্বি জয়নাল হাজারীসহ আরও কয়েকজন। কিন্তু তাদের সামনেই পঞ্চায়ের প্রধান মুরব্বি হাজী ইরন মিয়ার উপর হামলা শুরু করেন নজির আলী ও তার ছেলে নাতিরা। তাদের হামলায় আহত হন- হাজী ইরন মিয়া, তাঁর স্ত্রী ফজিরুন্নেছা এবং পুত্রবধু নাজমা বেগম। এসময় হামলাকারীরা ফজিরুন্নেছা এবং নাজমা বেগমের গলা ও কানে পরহিত স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নিয়ে যায় এবং ইরন মিয়ার ঘরে ভাংচুর চালিয়ে ক্ষতিসাধন করে।
এ ঘটনায় পঞ্চায়ের মুরব্বি হাজী ইরন মিয়া বাদি হয়ে, নজির আলী ও তার ছেলে আব্দুল আলী, ছায়াদ আলী, মফিজ আলী, সামাদ আলী, জামিল আলী এবং নাতি রাহী মিয়াকে বিবাদী করে কুলাউড়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এ বিষয়ে পঞ্চায়েতের সহকারী মুরব্বি জয়নাল হাজারী বলেন, তাঁর নিজের চোখের সামনে এই ন্যাক্কারজনক হামলার ঘটনাটি ঘটেছে। হামলাকারীরা এতই বেপরোয়া হয়ে উঠেছিলো, তাদেরকে কিছুতেই শান্ত করা যায়নি। তিনি হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি করেন।
এ বিষয়ে জানতে নজির আলীর সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায় নি। নজির আলীর ছেলে ছায়াদ আলীর মোবাইল ফোনে কল দিলে তাও বন্ধ পাওয়া যায়।
কুলাউড়া থানার এএসআই (মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা) মো: নুরু মিয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে সামাদ আলী নামের একজনকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক, মামলা রুজু প্রক্রিয়াধীন।