গত ১০ সেপ্টেম্বর বিজনেস ফাইল নামে একটি গণমাধ্যমে কুলাউড়া জালালীয়া মাদ্রাসার অভিভাবক সদস্য ও সমাজসেবক মখলিছ মিয়াকে জড়িয়ে “কুলাউড়ায় সুদ কারবারি মখলিছ মিয়ার কান্ড, সুদসহ ঋণ পরিশোধের পরও জামানতের চেক জিম্মি করে ৩ লাখ টাকা চাঁদা দাবি” শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই সংবাদটি দৃষ্টিগোচর হওয়ায় মখলিছ মিয়া সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, কুলাউড়া সদর ইউনিয়নের বড়কাপন গ্রামের বাসিন্দা মো. শফিক মিয়ার ছেলে তাওহিদুল ইসলাম সাঈদকে ২৫ লক্ষ টাকায় কেয়ার ভিসায় ইংল্যান্ড পাঠানোর জন্য চুক্তিনামা করা হয় পৌরসভার মমরেজপুর গ্রামের বাসিন্দা আবুল কালামের ছেলে সৌদিআরব প্রবাসী সাইফুর রহমানের সাথে। চুক্তিনামা অনুযায়ী অগ্রিম ১৮ লক্ষ টাকা পরিশোধ করা হয় এবং বাকি টাকা ভিসা হওয়ার পর প্রদান করার কথা ছিল। এরপর তাওহীদুল ইসলাম সাঈদের পাসপোর্টের কপি ও টাকা গ্রহণ করে তিন মাসের মধ্যে ইংল্যান্ড পাঠানোর কথা থাকলেও ইংল্যান্ডে পাঠাতে ব্যর্থ হন সাইফুর রহমান। ভিসা না হওয়ায় ১৮ লক্ষ টাকা ও পাসপোর্টর কপি ফেরত চাইলে সাইফুর রহমান একাধিকবার তারিখ করেও টাকা দেননি।
তিনি আরো বলেন, দীর্ঘ ১৯ বছর ধরে অত্যন্ত সুনামের সাথে কুলাউড়া জালালীয়া দাখিল মাদ্রাসায় অভিভাবক সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছি। আমার মেয়ে সরকারী প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষিকা ও ছেলে কুলাউড়া সরকারি কলেজের ছাত্র। সাইফুর রহমান একজন ভিসা ব্যবসায়ী। সে আমার এলাকার বাসিন্দা শফিক মিয়ার ভাগ্নীকে লন্ডনে পাঠিয়েছে। এরপর শফিক মিয়া তার ছেলেকে লন্ডনে পাঠানোর জন্য সাইফুর রহমানকে অগ্রিম ১৮ লক্ষ টাকা দেন। কিন্তু শফিক মিয়ার ছেলেকে লন্ডনে না পাঠানোর কারণে এলাকায় তিন থেকে চার বার সালিশি বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে আমাকে বিষয়টি সমাধান করার জন্য ডেকে নেয় সাইফুর রহমান। বৈঠকে আমিসহ স্থানীয় ৭জন লোক উপস্থিত ছিলাম। বৈঠকে শফিক মিয়ার ছেলের ভিসা সংক্রান্ত টাকা না দেওয়ার বিষয়টি সাইফুর রহমানকে কঠিনভাবে জিজ্ঞেস করি। তখন জবাবে সাইফুর রহমান তিন থেকে চার লক্ষ টাকা দিয়ে বিষয়টি শেষ করার জন্য বলে। তখন আমি এর প্রতিবাদ করলে সাইফুর রহমান উল্টো আমাকে এবং শফিক মিয়া ও তার ছেলে তাওহীদুল ইসলামকে সামাজিকভাবে হয়রানি ও ফাঁসানোর জন্য গত ২৫ জুলাই আদালতে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে। এছাড়া উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে মিথ্যা ও মনগড়া কাল্পনিক তথ্য দিয়ে ভিত্তিহীন একটি সংবাদ প্রকাশ করায়। যারকারণে সামাজিকভাবে আমার অনেক সম্মানহানি হয়েছে। আমি তো শুধু সাইফুরের কথায় ওই সালিশে ছিলাম। মূলত ভিসার বিষয়ে লেনদেন সাইফুর রহমানের সাথে শফিক মিয়ার হয়েছে। এখানে আমাকে জড়িয়ে যে মিথ্যাচার সাইফুর করেছে আমি ওই সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে ওই মামলা থেকে যেন আমাকে অব্যাহতি দেয়া হয়।
মখলিছ মিয়া, গ্রামঃ বড়কাপন, কুলাউড়া সদর ইউনিয়ন