মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় মারামারি ও শ্লীলতাহানির মামলায় উপজেলার কাদিপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য খসরু মিয়াকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। গত বুধবার (২৩ এপ্রিল) মৌলভীবাজার আদালতে জামিন নিতে গেলে বিজ্ঞ আদালত খসরু মিয়ার জামিন না মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এদিকে গত ২৭ এপ্রিল শনিবার রাতে ইউপি সদস্য খসরু মিয়ার পক্ষে কুলাউড়া মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে এক সংবাদ সম্মেলন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন মামলার ১ নম্বর স্বাক্ষী আমতৈল গ্রামের বাসিন্দা রুবেজ। এসময় আরো বক্তব্য দেন মুজাদ্দিদ আহমেদ ও কামরুল ইসলাম। এসময় তারা বলেন, কাদিপুর ইউনিয়নের আমতৈল এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে উপজেলা প্রশাসন থেকে একটি উন্নয়ন প্রকল্প আনেন ইউপি সদস্য খসরু মিয়া। প্রকল্প অনুমোদন হলে আমতৈল গ্রামের বাগাইরদারা রাস্তায় মাটি ভরাটের কাজ শুরু হয়। তখন উন্নয়ন কাজে বাঁধা প্রবাসী রুবেজ আহমদ রুবেলের দ্বিতীয় স্ত্রী দোলা খানম। দোলা বেগম দাবি করেন, যেখান থেকে মাটি নেয়া হচ্ছে সেখানে তার স্বামীর কোন জায়গা নেই। জায়গা সহলো সাধন মিয়া নামে অন্য এক ব্যক্তির। কিন্তু তাদের জায়গা না থাকা সত্ত্বেও প্রবাসীর স্ত্রী কেন বাঁধা দিলেন। মিথ্যা অভিযোগ এনে ইউপি সদস্য খসরু মিয়াকে হয়রানি করার জন্য মামলা দায়ের করা হয়। অথচ, গত ১৫ এপ্রিল ইউপি সদস্য খসরু মিয়াকে মারধর করেন প্রবাসী রুবেলের স্ত্রী দোলা। তার হাতে থাকা লাঠির আঘাতে মেম্বারের মাথা ফেটে যায় পরবর্তীতে মেম্বার গ্রাম বাসীদের নিয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। ঘটনার দুইদিন পর প্রবাসীর স্ত্রী দোলা ইউপি সদস্য খসরু মিয়াকে ফাঁসানোর জন্য থানায় অভিযোগ দিলে মামলা রুজু হয়। গত ২৩ এপ্রিল ইউপি সদস্য খসরু মিয়া জামিন নিতে গেলে আদালত তার জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান। আমরা ওয়ার্ডের সকল মানুষের পক্ষ থেকে ইউপি সদস্য খসরু মিয়ার মুক্তির দাবি জানাচ্ছি।
মামলার ১ নম্বর স্বাক্ষী রুবেজ বলেন, মামলার বিষয়টি আমি অবগত নই। আমাকে না জানিয়ে মামলার বাদী আমার মামার দ্বিতীয় স্ত্রী দোলা খানম আমাকে ১ নম্বর স্বাক্ষী দিয়েছেন। এলাকায় জনস্বার্র্থে উপজেলা প্রশাসন থেকে বরাদ্দ এনে রাস্তায় মাটির কাজ শুরু করেন ইউপি সদস্য খসরু মিয়া। কিন্তু কাজ শুরু করলে বাঁধা দেন প্রবাসীর স্ত্রী দোলা। তখন মেম্বার খসরু মিয়া প্রবাসীর স্ত্রী দোলাকে বলেন, সরকারি কাজে বাঁধা দিবেন না কোন আপত্তি থাকলে প্রশাসনকে জানানোর জন্য। একথা বলার পর প্রবাসীর স্ত্রী দোলা ইউপি সদস্য খসরু মিয়ার ওপর হামলা চালান। হামলায় খসরু মিয়ার মাথা ফেটে যায়। তিনি আরো বলেন, বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে, ইউপি সদস্য খসরু মিয়াকে আওয়ামীলীগের লোক বলা হয়েছে। কিন্তু প্রকৃত সত্য হলো খসরু মিয়া বিএনপির লোক। এলাকার একটি পক্ষ খসরু মিয়াকে নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র করছে।
Related