মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় ডেভিল হান্টের অভিযানে যুবলীগ কর্মী মাহবুবুর রহমান ঝিনুককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রবিবার (২৭ এপ্রিল) রাত ৯টায় কুলাউড়া থানার ওসি মো. গোলাম আপছারের নেতৃত্বে পৌরসভার চাতলগাঁও এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার ভয়ে স্থানীয়দের তটস্ত থাকতে হয়। ঝিনুক কুলাউড়া পৌর এলাকায় মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন অপকর্ম করেছেন বলে জানা গেছে। গ্রেপ্তারকৃত ঝিনুক পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের চাতলগাঁও এলাকার বাসিন্দা হানিফ মিয়ার ছেলে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চলতি বছরের গত ১৭ জানুয়ারি কুলাউড়া পৌরসভার চাতলগাঁও এলাকায় মালিকানাধীন জমি ব্যবহার করে জোরপূর্বক মাটি পরিবহন করার বিষয়ে প্রতিবাদ করায় মাটি বিক্রি সিন্ডিকেট চক্রের হোতা মাহবুবুর রহমান ঝিনুক পৌরসভার মধ্য চাতলগাঁও এলাকার বাসিন্দা হুমায়ুন কবির পায়েল (৩৯) কে এনাম আহমদের দোকানের সামনে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। নিজেকে রক্ষা করতে গেলে দায়ের কুপে তার বাম হাত প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। একাধিক কুপে পায়েলের বাম হাত ক্ষতবিক্ষত হয়। পায়েলের চিৎকার শুনে পরিবার ও আশপাশ লোকজন এগিয়ে এলে ঝিনুক ও তার সহযোগীরা চলে যায়। আহত পায়েলকে উদ্ধার করে প্রথমে কুলাউড়া হাসপাতালে ভর্তি করলে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় সিলেট ওসমান হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। সেখানে তার অবস্থার আরও অবনতি হলে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়। পায়েল দীর্ঘদিন ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল। সেখানে তাঁর অস্ত্রোপচার হয়। তবে, তাঁর শারীরিক অবস্থা তেমন ভালো নয়। এই ঘটনায় গত ২৩ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার রাতে পায়েলের বড় ভাই রুহুল কবীর বাদী হয়ে ঝিনুককে প্রধান আসামী করে অজ্ঞাতনামা আরও দুই জনকে আসামি করে মামলা করেন।
কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গোলাম আপছার বলেন, রাজনৈতিক মামলায় ডেভিল হান্টের তালিকাভুক্ত ১২ নম্বর আসামী যুবলীগের সক্রিয় কর্মী ঝিনুককে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। তাছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে থানায় আরো মামলা রয়েছে।