“বিট পুলিশিং বাড়ি বাড়ি, নিরাপদ সমাজ গড়ি, তথ্য দিন সেবা নিন” এই স্লোগানকে সামনে রেখে কুলাউড়া পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের বাদে মনসুর এলাকায় বিট পুলিশিং সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) রাত আটটায় বাদে মনসুর গুলশানে কাদেরীয়া সংলগ্ন মাঠে এ সভার আয়োজন করে কুলাউড়া থানা পুলিশ।
সভায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, গণ্যমান্য ব্যক্তি ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় উপজেলা বিএনপির সাবেক প্রচার সম্পাদক শেখ শহিদুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে ও কুলাউড়া উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল বারী সোহেল এর সঞ্চালনায়।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কুলাউড়া সার্কেল) মো: আজমল হোসেন, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: ওমর ফারুক,ভিট অফিসার উপপরিদর্শক জুনেদ আহমেদ, কুলাউড়া সরকারি কলেজের সাবেক জিএস রওশন, পৌর বিএনপি আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জুবের খান, পৌর বিএনপি নেতা সুরমান আহমদ , ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমির খসরু,উপজেলা প্রেসক্লাব সহ সাধারণ সম্পাদক একেএম জাবের, সাংবাদিক মহিউদ্দিন রিপন,ছাত্রদল নেতা হাবিবুর রহমান টিপু, জুলাই যুদ্ধা নাহিদুর রহমান, লিংকন তালুকদার, শেখ বদরুল হোসেন রানা, আরিফুল ইসলাম, রাদিউজ্জামান নাহিদ, জসিম আহমেদ, পান্না আহমেদ,সুহেল আহমেদ প্রমূখ।
এছাড়া উক্ত মতবিনিময় সভায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, স্কুল-কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীগণ ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা উপস্থিত ছিলেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কুলাউড়া সার্কেল আজমল হোসেন বলেন, সুদ-জুয়া, চুরি,সন্ত্রাস, কিশোর গ্যাং- নারী নির্যাতন, ইভটিজিং, বাল্যবিবাহ,মোবাইলে ক্যাসিনো ও সাইবার ক্রাইম দমনে পুলিশ তৎপর।
জনগণের পুলিশ’ হিসেবে আপামর জনসাধারণকে সেবা প্রদানের লক্ষ্যে বিট পুলিশিং কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে নিশ্চিত করেন
সভায় বক্তারা আরো বলেন, বিট পুলিশিংয়ের মাধ্যমে সাধারণ মানুষ পুলিশের আরও কাছে আসতে পারছে, সহজে তথ্য দিতে পারছে এবং সেবা গ্রহণ করতে পারছে। এতে করে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি আগের চেয়ে অনেক উন্নত হয়েছে।
প্রতিটি বিটে একজন সাব-ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার কর্মকর্তা ইনচার্জ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তারা নিয়মিত এলাকাভিত্তিক সভা, সন্ত্রাস ও মাদকবিরোধী প্রচার, নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।
পুলিশ প্রশাসন জানায়, ভবিষ্যতেও এ কার্যক্রম আরও জোরদার করে তোলা হবে, যাতে একটি নিরাপদ, সচেতন ও শান্তিপূর্ণ সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তোলা সম্ভব হয়।