সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ১২:৫০ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
ছাত্রলীগের উপ-আপ্যায়ন সম্পাদক সঞ্জয় পাশী গ্রেপ্তার কুলাউড়ায় বড় ভাই কর্তৃক প্রবাসী ছোট ভাইয়ের জায়গা দখলের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন কুলাউড়ায় যুবলীগ নেতা তারন গেপ্তার কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শন করলেন জেলা প্রশাসক কুলাউড়ায় দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে জেলা প্রশাসকের ঢেউটিন বিতরণ জুলাইসহ সকল গণহত্যার বিচার ও আজহারুল ইসলামের মুক্তির দাবিতে মৌলভীবাজারে ছাত্রশিবিরের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ জামিনে মুক্তি পেলেন কুলাউড়ার কাদিপুর ইউপি সদস্য খসরু কুলাউড়ায় মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চের কেন্দ্রীয় নেতা তানিম গ্রেপ্তার কুলাউড়ায় মশার কয়েলের অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে ছাই কৃষকের ৪ গরু কুলাউড়ায় মাসব্যাপী ড্রাইভিং ও বিউটিফিকেশন প্রশিক্ষণ শুরু

দরিদ্রতা হার মানলো জিপিএ ৫ পাওয়া নিশাতের কাছে

মহি উদ্দিন রিপন
  • আপডেট : শুক্রবার, ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩

কুলাউড়া উপজেলার লংলা আধুনিক ডিগ্রি কলেজের মানবিক বিভাগ থেকে অংশ নিয়ে জিপিএ ৫ পেয়ে চমক দেখিয়েছে দরিদ্র পরিবারের সন্তান নিশাত আক্তার (১৮)। পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী দরিদ্র বাবার পক্ষে নিশাতের পড়ালেখা চালানো সম্ভব হচ্ছিলো না ঠিক তখনই সে পড়ালেখার পাশাপাশি টিউশনি করিয়ে পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে এবং নিজের পড়ালেখা চালিয়েছে। তাঁর এই ফলাফলের পিছনে বাবা- মা ছাড়াও স্কুল-কলেজের শিক্ষকদের ভূমিকা ছিল অনেক। দরিদ্রতার সাথে নানা লড়াই করে সে আজ সফল হয়েছে।

উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নের গুতুমপুর গ্রামের বাসিন্দা দিনমজুর মোঃ হান্নান মিয়া ও গৃহিণী নাজমা বেগমের দম্পতির তিন মেয়ের মধ্যে নিশাত সবার বড়। নিশাত জানায়, প্রতিদিন সে গড়ে ৮-৯ ঘন্টা পড়ালেখা করতো। অভাব-অনটনের সংসারে টাকার জন্য কোনদিন প্রাইভেট পর্যন্তও পড়েনি। পরিবারের বাবা-মা ও শিক্ষকদের অনুপ্রেরণায় তাঁর এই সাফল্য এসেছে। প্রাইমারী থেকে কলেজ পর্যন্ত পড়াশোনা করতে তাকে অনেক চড়াই-উৎরাই পার করতে হয়েছে। পড়াশোনা নিয়মিত চালিয়ে যাবার জন্য সে টিউশনি করেছে। টিউশনি থেকে যে টাকা পেত সেটা দিয়ে তার পড়ালেখা ও পরিবারের জীবিকা নির্বাহে বাবাকে সহযোগিতা করতো। বাড়ি থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে কলেজ থাকায় সে নিয়মিত পায়ে হেঁটে কলেজ যেত। নিশাত আরো জানায়, আমি এখন আইন বিষয়ে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করতে চাই। সমাজের অবহেলিত মানুষের জন্য একটা কিছু করতে চাই। আমার বাবা-মায়ের স্বপ্ন পূরণ করতে চাই।

নিশাতের বাবা দিনমজুর হান্নান মিয়া জানান, দিনমজুরের কাজ করে কোনমতে সংসার চালাই। পরিবারের আর্থিক অবস্থা একদম শোচনীয়। পৈত্রিক সাড়ে তিন শতক জমির ওপর আমার ছোট্ট এই কুঁড়েঘরে তিন মেয়েকে নিয়ে বসবাস করছি। যখন যে কাজ পাই তখন সেটা করি। আমার মেয়ের ইচ্ছে, সে আইন বিষয়ে পড়তে চায়। কিন্তু বাবা হিসেবে আমি তার উচ্চশিক্ষার জন্য এত টাকা খরচ করা সম্ভব হচ্ছে না।

শেয়ার করুন

আরও পড়ুন
© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২০ | কেবিসি নিউজ ফ্রান্স
Theme Developed BY NewsFresh