রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৩:৪৮ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
কুলাউড়ায় শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবস পালিত রাতের ভোটের নির্বাচন মানুষ আর দেখতে চায় না – ইঞ্জিনিয়ার এম সায়েদ আলী তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন: মায়ের প্রতি ভালোবাসা, দায়িত্ববোধ এবং অতীতের নির্মম স্মৃতি কুলাউড়ায় পরিবারকল্যাণ কর্মীদের ১০ দিনের কর্মবিরতি শুরু গিয়াসনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষা সমাপনী অনুষ্ঠিত শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় বিদায় নিলেন পুলিশ সুপার এম.কে.এইচ. জাহাঙ্গীর হোসেন সাংবাদিক রিয়াদের প্রবাস যাত্রা উপলক্ষে কুলাউড়া প্রেসক্লাবে বিদায় সংবর্ধনা কুলাউড়ায় প্রাণিসম্পদ সপ্তাহের উদ্বোধন কুলাউড়ায় মৌলভীবাজার চেম্বারের হাসান জাবেদ প্যানেলের পরিচিতি সভা কুলাউড়া ভুকশিমইল ইউনিয়নে জামায়াত প্রার্থীর জনসভা

হারিছ চৌধুরী তিন মাস পূর্বে লন্ডনে মারা গেছেন

কেবিসি নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট : বুধবার, ১২ জানুয়ারী, ২০২২
পলাতক বিএনপি নেতা আবুল হারিছ চৌধুরী  তিন মাস পূর্বে লন্ডনের একটি হাসপাতালে মারা গেছেন। তিনি করোনায় ভুগছিলেন। গত বছর আগস্টে করোনায় আক্রান্ত হয়ে সুস্থও হন। তবে করোনায় ফুসফুসের মারাত্মক ক্ষতি হওয়ায় আবার তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়। তিনি আগে থেকেই ব্লাড ক্যান্সার ও অন্যান্য জটিলতায় ভুগছিলেন। হারিছ চৌধুরীর চাচাতো ভাই সিলেট জেলা বিএনপির সহসভাপতি আশিক চৌধুরী এ তথ্য দেন। তাঁর মৃত্যু হয় প্রায় সাড়ে তিন মাস আগে। পরিবারের সদস্যরা সংবাদটি এত দিন গোপন রেখেছিলেন।

গতকাল আশিক চৌধুরী ফেসবুকে ইঙ্গিতপূর্ণ একটি স্ট্যাটাস দিলে হারিছ চৌধুরীর মৃত্যুর বিষয়টি চাউর হয়ে যায়। ফেসবুকে স্ট্যাটাসে লেখা ছিল- ‘ভাই বড় ধন, রক্তের বাঁধন’। হারিছের একটি ছবি যুক্ত করে আশিক এ স্ট্যাটাস দেন। স্ট্যাটাসের নিচে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা ‘ইন্না লিল্লাহি … রাজিউন’ লিখে কমেন্ট দিতে থাকেন।

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় ২০১৮ সালে যাবজ্জীবন সাজা হয় হারিছ চৌধুরীর। একই বছরের ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় হারিছ চৌধুরীর সাত বছরের জেল ও ১০ লাখ টাকা জরিমানা হয়। এ ছাড়া সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া হত্যা মামলায় হারিছ চৌধুরী ও সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীসহ ২৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। ২০০৭ সালে দেশে জরুরি অবস্থা জারির পর হারিছ চৌধুরী সস্ত্রীক তাঁর গ্রামের বাড়ি সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার দর্পনগরে আসেন। রাত ১২টার পর তাঁর ব্যক্তিগত সহকারী আতিক মোবাইল ফোনে জানান, ঢাকায় বিএনপি নেতাদের বাসভবনে যৌথ বাহিনীর অভিযান চলছে।

কয়েক ঘণ্টা পর যৌথ বাহিনী হারিছের বাড়িতে হানা দেয়। কিন্তু তার আগেই তিনি সরে পড়েছিলেন। কিছুদিন সিলেটে এখানে-ওখানে লুকিয়ে থাকার পর ওই বছরের ২৯ জানুয়ারি জকিগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে রাতের আঁধারে ভারতে চলে যান। ভারতের আসামে করিমগঞ্জ জেলার বদরপুরে তাঁর নানাবাড়ি। সেখানেই তিনি ওঠেন। সেখান থেকেই বিদেশে যাতায়াত করতেন। সূত্র জানান, ব্যবসা-বাণিজ্যও দেখভাল করতেন ওখানে থেকেই।
হারিছ চৌধুরী স্ত্রী ও ছেলেমেয়ে নিয়ে যুক্তরাজ্যে থাকতেন। তাঁর ছেলে জনি চৌধুরী পেট্রোলিয়াম ইঞ্জিনিয়ার। মেয়ে মুন্নু চৌধুরী ব্যারিস্টার।

শেয়ার করুন

আরও পড়ুন
© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২০ | কেবিসি নিউজ ফ্রান্স
Theme Developed BY NewsFresh