বাংলাদেশিদের মাথাপিছু আয় আড়াই হাজার ডলার ছাড়িয়ে গেছে। নতুন ভিত্তিবছর ধরে অর্থনীতির সূচক পরিমাপ করায় গত অর্থবছরের সংশোধিত হিসেবে বার্ষিক গড় মাথাপিছু আয় বাড়ছে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ হিসাবে দেশের মাথাপিছু আয় এখন ২ হাজার ৫৫৪ ডলার।
২০২০-২১ অর্থবছরে মাথাপিছু আয় এক লাফে ৩২৭ ডলার বা ১৪ দশমিক ৬৮ শতাংশ বেড়েছে।
২০১৫-১৬ অর্থবছরকে ভিত্তিবছর ধরে নতুন এই খসড়া হিসাব পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অনুমাদনের অপেক্ষায় রয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) জিডিপি শাখার পরিচালক জিয়াউদ্দিন আহমেদ। এতদিন ২০০৫-২০০৬ ভিত্তিবছর ধরে এসব গণনা করা হতো।
নতুন হিসাবে, বাংলাদেশের জিডিপির বেড়ে ৪০৯ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে, যা বিবিএসের আগের হিসেবে ছিল ৩২৮ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার।
ফলে গড় মাথাপিছু আয়ও ২ হাজার ৫৫৪ ডলারে উন্নীত হয়েছে, যা আগের হিসেবে ছিল ২ হাজার ২২৭ ডলার।
দেশের অভ্যন্তরে কৃষি, শিল্প ও সেবাসহ সকল খাত থেকে সকল আয়ের সঙ্গে প্রবাসীরা যে বৈদেশিক মুদ্রা পাঠান তা যুক্ত করে মোট জাতীয় আয় হিসেবে হিসাব করা হয়। এক অর্থবছরে জাতীয় আয়কে দেশের মোট জনসংখ্যা দিয়ে ভাগ করে মাথাপিছু আয় হিসাব করা হয়।
মাথাপিছু আয় কোনো ব্যক্তির একক আয় নয়। দেশের অভ্যন্তরের পাশাপাশি রেমিট্যান্সসহ যত আয় হয়, তা দেশের মোট জাতীয় আয়। সেই জাতীয় আয়কে মাথাপিছু ভাগ করে দেওয়া হয়।
গতবারের মতো এবারও মাথাপিছু জিডিপিতে ভারতকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। গত অক্টোবরে দেওয়া আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০২১ সালে চলতি মূল্যে বাংলাদেশের মাথাপিছু জিডিপি হবে ২ হাজার ১৩৮ ডলার। আর ভারতের মাথাপিছু জিডিপি হবে ২ হাজার ১১৬ ডলার।